হ্যাঁ, আমার আমেরিকা ও বাংলাদেশে ফটোগ্রাফি, মডেলিং ফটোগ্রাফি, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি ও মেক আপ সুপারভিজন করার কাজের অভিজ্ঞতা আছে। মডেলের মেক আপ ও প্রোডাক্টের জন্য সেট আপ খুবই গুরত্বপূর্ণ। বাংলদেশে সব সময়ই অতিরিক্ত মেক আপ দেয়া হয়। যেমন- বিয়েতে কনেকে এত মেক আপ দেয়া হয় যে, পরে মেয়েটির আসল চেহারাই বোঝা যায় না।
কতটুকু মেক আপ আসলে করা উচিত? এটা ব্যক্তিভেদে একেক রকম হয়। তবে অতিরিক্ত মেক আপ কখনোই কাউকে সুন্দর করে না।
একটা পারফেক্ট মেক আপ সেটাই, যেটা মানুষকে নেচারালি সুন্দর দেখায়। তবে মেক আপ এর ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে।
যদি কেউ মেক কিভাবে সঠিকভাবে দিতে হবে তা নিয়ে আর্টক্যাল লিখতে চান অথবা কেউ মেক আপ আর্টিস্ট হতে চান-আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রোডাক্ট ও মডেল ফটগ্রাফি অবশ্যই দেখতে সবচেয়ে সুন্দর হতে হবে, এটা ক্লায়েন্টের মূল চাওয়া। আর তাদের এ চাওয়া ঠিক ভাবে পূরণ করার লক্ষ্য ঠিক করাতে তা আমাকে সেলস ও মার্কেটিং এ সাহায্য করেছে। আমাদের কোম্পানির সাফল্যের মূল কারণই হচ্ছে সেলস ও মার্কেটিং এ প্রথম স্থানে রাখা। ঠিক সময়ে ডেলিভারি, প্রথম বারেই দ্রুত সময়ে নিখুঁতভাবে কাজটি করা ও কাস্টমারের দেয়া নির্দেশনা প্রথম বারেই টু দ্য পয়েন্টে ফলো করা- এ কৌশলগুলো আমার বিজনেস বাড়িয়েছে ৮০% পর্যন্ত।
কিভাবে মেক আপ আর্টিস্ট্রি বিজনেস শুরু করবেন?
মেক আপ আর্টিস্টরা কসমেটিকসের সেরা ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টের বিয়ে বা এরকম ফটোগ্রাফি ইভেন্টগুলোকে আরো গ্ল্যামারাস করে তোলে। মেক আপ রিটেইল বিজনেস নির্ভর করে ক্লায়েন্টের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগের উপর, কিন্তু মেক আপ আর্টিস্ট কাজ করেন একা। মেক আপ আর্টিস্টের চাহিদা হতে পারে সিজনাল বা অকেশনাল। যেকারনে একা কাজ করার ক্ষেত্রে সব সময়ই ক্লায়েন্ট পেতে সমস্যা হতে পারে। এরকম সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য ও ভালো আয় করার জন্য, ছোট বিজনেস গুলোর মালিকগুলোর তাদের বিজনেসকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।
১। ২০-৩০ ফেসের একটা মডেল পোর্ট ফোলিও বানান। আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের মডেল বানান, তারা মেক আপ করবে আপনার জন্য ও এরপর আপনি তাদের ছবি তুলবেন। এক্ষেত্রে ভিন্ন রঙের চুল, চোখ ও ত্বকের অধিকারী মেয়েদের ফটোশ্যুট করতে পারেন। আপনার সর্বোচ্চ দক্ষতা আপনার পোর্ট ফোলিওতে ফুটিয়ে তুলুন ও ক্লায়েন্টের সামনে উপস্থাপন করুন।
২।কাজ প্র্যক্টিসের সময় প্রফেশনাল মানের মেক আপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। সবাই ব্যবহার করে এরকম প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে, এক্সক্লুসিভ কিছু ব্যবহার করুন।
৩। বন্ধু ও হ্যাপী কাস্টমারদের থেকে রেফারেল নিন। অনেক সময় তাদের ডিসকাউন্ট বা ছোট উপহার দিলে, তারা সম্ভাব্য আরো ৫ জন কাস্টমারের সাথে আপনাকে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। তাদের সাথে পরিচিত হন। এরপর অনুমতি নিয়ে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে তাদের জানান।
৪। ফটোগ্রাফি স্টুডিওগুলোকে মেক আপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করুন। আপনার পোর্ট ফলিও দেখান, নিজের বিজনেস কার্ড তাদের দিন। মডেলিং স্কুলগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন। নিজের সার্ভিস নিয়ে জানান। এক সপ্তাহ পর ফিডব্যাক নিন।
৫। মেয়ে বা নারীদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। তাদের জন্য মেক আপ আইডিয়া পার্টি বা ফ্রি মেক আপ ক্লাস নিন। ব্রশিউর, ফ্লায়ার বা লিফলেট দিন। তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসার দ্রুত জবাব দিন।
৬। আপনার কাজগুলো নিয়ে অনলাইন ভিডিও বানান, বেসিক টিপস ও টেকনিক দেখান। এটা আপনাকে প্রফেশনাল মেক আপ আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত করবে ও আপনার কাজের স্টাইল সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেবে। আপনার সোশ্যাল সাইটের লিঙ্ক দিন কাস্টমারকে আকৃষ্ট করার জন্য।
৭। মেক আপ ব্লগ তৈরি করুন। প্রতিদিন মেক আপ ব্লগ প্রকাশ করুন, তাতে মেক আপ টিপস, প্রোডাক্ট রিভিউ ও আইডিয়া দিন। পাঠকের প্রশ্নের উত্তর দিন, নিজের কাজের প্রচুর ছবি দিন। কাস্টমার যেন যোগাযোগ করতে পারে, কন্টাক্ট ইনফোরমেশন দিন সাইটে।
৮। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ট্রেনিং ও লাইসেন্সিং এর জন্য আবেদন করতে পারেন, যাতে আপনার বিজনেস আরো গ্রহণযোগ্যতা পায়। এজন্য স্পেশাল ইফেক্ট কোর্স কিংবা হেয়ার স্টাইল/ স্কিন কেয়ারের উপর কমপ্লিমেন্টারি ক্লাস করতে পারেন।
For those who want to be Retouchers this post can be good material for you. You can also review below link for 10 Best Photo Retouchers In The World. https://fixthephoto.com/blog/retouch-tips/10-best-photo-retouchers-in-the-world.html
 
			
							
				