১৯৮৫ সালে আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ইমেজ ম্যানিপুলেশন কোম্পানীতে কাস্টমার সার্পোট প্রতিনিধি (সিএসআর) এর কাছ থেকে ন্যাশনাল জিউগ্রাফিক ম্যাগাজিনের কাজটি আমি বুঝে নিতাম। এছাড়াও আমরা স্বনামধন্য প্রায় ১৫০ টা ম্যাগাজিনের এবং কোম্পানীর কাজ করতাম। প্রথমে আমি কাজটি বুঝে নিতাম এবং তারপর কালার সেপারেশন করার জন্য স্ক্যানার ডির্পাটমেন্টে পাঠাতাম। প্রসেস ক্যামেরা অপারেটরের কাছে শ্যূট করার জন্য পাঠানো হতো এবং কাভারটি শ্যূট করে নেগেটিভ বানানো হতো। প্রত্যেকটি জায়গায় ১০০% পারফেক্ট রেজিষ্ট্রেশন রাখার জন্য রেজিষ্ট্রেশন পানচিং সিস্টেম দিয়ে পানচিং করা হতো (রেজিস্ট্রেশন পানচিং সিস্টেমের নমুনা দেওয়া হলো)। রেজিষ্ট্রেশন পানচিং সিস্টেম দিয়ে লাইট টেবিল এবং কন্টাক ফ্রেমে রেজিষ্ট্রেশন সেট করা হতো যাতে রেজিষ্ট্রেশন একচুল পরিমাণও এদিক সেদিক না হয়। কারণ লাইট টেবিল, কন্টাক ফ্রেম, প্রোফিং এবং পেইজ ফ্যাক্স মেশিন দিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নেগেটিভ পাঠানো হতো আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে এবং আমেরিকার বাইরে ম্যাগাজিনগুলো একই সময়ে ছাপানোর জন্য। সব জায়গায় যেন একই রেজিষ্ট্রেশন হয়। যেসব ম্যাগাজিন চাইনিজ ভার্সন সেগুলোও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠিয়ে ছাপানো হতো আমেরিকার বাইরে।
এক বক্সে ১০০ মাইলার শীট আসতো। আমরা এগুলো রেজিষ্ট্রেশন পান্চ মেশিন দিয়ে পান্চ করতাম। টপ এবং বটম রেজিষ্ট্রেশন সিস্টেমটা আমরা লাইট টেবিল এবং কন্টাক ফ্রেমে ব্যবহার করতাম। একই রেজিষ্ট্রেশন সিস্টেম পেইজ ফ্যাক্স মেশিন এবং প্রিন্টিং কোম্পানীতে ব্যবহার করা হতো যার কারনে সব জায়গায় রেজিষ্ট্রেশন সামঞ্জস্যপূর্ন থাকতো।
প্রথমে আমাদেরকে কাভার শ্যূট করতে হতো, তারপর নেগেটিভ হয়ে যেতো। এই স্পেশিফিক ন্যাশনাল জিউগ্রাফিক কাভারটা খুবই সহজ বর্ডারে হলুদ করতে হতো যা টিন্ট এর সমন্বয়ে করতো হতো এবং প্যান্টন বুক দিয়ে ফলো করতে হতো। নিন্মের লাল লেখাটাও স্ক্রিন টিন্ট ব্যবহার করে লাল প্যান্টন বুক ফলো করে করতে হয়েছে। এক একটা কাভার করতে মাত্র কয়েক ঘন্টা এবং কঠিন হলে সারাদিনও লেগে যেতো।
সব সাদা লেখাগুলো নেগেটিভ থেকে পজিটিভ করতো হতো। যখন ফিল সমন্বয় করা হতো তখন ইয়োলো, ম্যাজেন্টা, সায়ান এবং ব্লাক প্রত্যেকের সংঙ্গে সাদা লেখার পজিটিভসহ বার্ণ করতে হতো। এখানে সব ইয়োলো এবং সব ম্যাজেন্টাকে একটা ফিল্মে সমন্বয় করতে হতো এবং তারপর সায়ান এবং ব্লাক সমন্বয় করতে হতো। এখানে সমন্বয় বলতে ফিল্মকে বার্ণ করতে হতো।
পান্চড ফিল্ম থেকে প্রুফ বানাতে হতো যা প্রিন্টিং’র পর কেমন হয়েছে তা দেখতে হতো। প্রুফ এপ্রোভ হওয়ার পর পেইজ ফ্যাক্স মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্টিং কোম্পানীতে আমেরিকার মধ্যে বা বাইরে সরাসরি ফিল্ম বা প্লেট বার্ণ হতো। শুধু প্রিন্টিং নয় সাবসক্রাইভারদের নাম ঠিকানা প্রিন্ট সহ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতো। ম্যানুয়ালি একটা ম্যাগাজিন কাভার দিয়ে কিভাবে ৮০’তে কাভার বা পুরো ম্যাগাজিন করা হতো তা দেখানো হলো। এখন আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে সেই কাজটি করা হয় তা ব্যাখ্যা করবো।