প্লাস্টিক ব্যাগ ও প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করা ক্ষতিকর?
প্রতি বছর আনুমানিক ৫০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়।
অর্থাৎ প্রতি মিনিটে প্রায় ১ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হয়।
ওয়ার্ল্ড ওয়াচ ইন্সটিটিউটের স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট থেকে জানা যায়,
২০০২ সালে সারা বিশ্বব্যাপী ৪-৫ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ উৎপাদিত হয়েছে। যার মাঝে আছে ট্র্যাশ ব্যাগ, মোটা শপিং ব্যাগ ও হালকা গ্রোসারি ব্যাগ।
এই ব্যাগ গুলোর ৮০% উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপে ব্যবহৃত হয়। প্রতি বছর আমেরিকানরা ১০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক গ্রোসারি ব্যাগ ব্যবহার করে ফেলে দেয়।
একটি আমেরিকান পরিবার গড়ে ১৫০০ প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ বাড়িতে নিয়ে আসে। আমেরিকানরা প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ ব্যবহার করে ও ফেলে দেয়। আর এই প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরিতে প্রতি বছর ১২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহৃত হয়।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর মতে, প্রতি বছর আমেরিকাতে ৫% এর কম প্লাস্টিক গ্রোসারি ব্যাগ রি-সাইকেল করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ সুপার মার্কেটগুলোতে প্রচলিত হয়।
বিজ্ঞানীদের মতে, সমুদ্রে প্রতি বর্গ মাইলে ৪৬,০০০ টুকরো ভাসমান প্লাস্টিক আছে। গবেষকরা দেখেছেন, এই প্লাস্টিক বর্জ্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের একটি স্পঞ্জের আবরণের মতো কাজ করে। এর ঘনত্ব আশেপাশের পানির ঘনত্বের চেয়ে কয়েক লক্ষ গুণ বেশি। এটি সামুদ্রিক প্রাণীদের জন্য বিষাক্ত হয়ে যায়।
প্লাস্টিক ব্যাগ পঁচতে ১০০০ বছরের বেশি সময় লাগে। তাই যখন কোনো প্রাণী প্লাস্টিক ব্যাগ খেয়ে মারা যায়,এই প্লাস্টিক গুলো আবার পরিবেশে প্রবেশ করে, এর ফলে বন্যপ্রাণীরা হুমকির মুখে পড়ে।
শুধু তাই নয়, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে কিছু কিছু জায়গায় জুপ্ল্যাংকটনের চেয়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ ৬ গুণ বেশি। বিভিন্ন ধরণের ২৬৭ প্রজাতির প্রাণী সমুদ্রের প্লাস্টিকের আবর্জনার কারণে হুমকির মুখে আছে।
একটা প্লাস্টিক ব্যাগ বানাতে যে পরিমাণ পেট্রোলিয়াম ব্যবহৃত হয়, তা দিয়ে একটি গাড়ি ১১৫ মিটার চালানো যায়। তাহলে ১৪ টা প্লাস্টিক ব্যাগ বানাতে প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়াম দিয়ে ১ মাইল গাড়ি চালানো সম্ভব!
প্লাস্টিক ব্যাগ বানাতে লাগে পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থ। এগুলোর সবকিছুই বাতাসের জন্য বিষাক্ত। গৃহস্থলী বর্জ্য পদার্থের ১/৩ ভাগই হচ্ছে প্যাকেজিং এর জিনিসপত্র।
২০০৭ সালে আমেরিকাতে ৩১ মিলিয়ন টন ( মিউনিসিপিল্যাটি ওয়াস্টের ১২.১%) ছিল প্লাস্টিক। প্রতি বছর ৩৮০ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ও বস্তা আমেরিকাতে ব্যবহৃত হয়, যার রিটেইল মূল্য ৪ বিলিয়ন ডলার।
**বোতল**
২০০৬ সালে আমেরিকানরা ৮ বিলিয়ন গ্যালন বোতলজাত পানি কিনতে ১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। আমেরিকানরা ১৯০ বিলিয়ন সোডা, জুস ও অন্যান্য পানীয় কিনে থাকে, যেগুলো থাকে প্লাস্টিক বা গ্লাসের বোতলের কিংবা এলুমিনিয়াম ক্যানের ভেতরে।
অর্থাৎ আমেরিকাতে জনপ্রতি ৬৫০ টি কনটেইনার/ক্যান ব্যবহার করে প্রতি বছর-দৈনিক হিসেবে জনপ্রতি ২ টি। এর মাঝে মাত্র ১৪% প্লাস্টিক ওয়াটার বোতল রিসাইকেলড হয়।
সুতরাং, পাট বাজারজাতকরণ নিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবতে পারি।
Dr. Mubarak Ahmed Khan, Chief Scientific Adviser of Bangladesh Jute Mills Corporation (BJMC) and former Director General of Atomic Energy Research Establishment of the Bangladesh Atomic Energy Commission (BAEC).
তিনি তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেছিলেন রেডিয়েশন এবং পলিমার কেমিস্ট্রিতে।তিনি আমেরিকা, জার্মানি,জাপান সহ বিশ্বের অনেক দেশে রিসার্চ করেছেন কিন্তু তিনি একজন বৈজ্ঞানিক এবং রিচার্সার। মার্কেটিং গুরু নন। এমনও না তিনি বাংলাদেশে কোন উচ্চপদস্থ পজিশনে আছেন যে তাঁর লেটেস্ট ইনভেনশন নিয়ে কার্যকরী কোন সিদ্ধান্ত নিবেন। আমরাই হচ্ছি সঠিক মানুষ যাদের সচেতনতা গড়ে তোলা উচিৎ । আমাদের সরকারের উঁচু পর্যায়ে লবিং করা উচিৎ কারণ ডঃ মুবারক আহমেদ খানের আবিষ্কার অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ব্যবস্থা করবে। আমাদের কোম্পানি এক্সেস প্রিন্টিং সলিউশন মিডলইস্টে একাই প্রতিমাসে ২০,০০০ টন জুট পলিফিল্ম বিক্রি করতে পারবে। তাহলে আপনি ভেবে দেখেন জুট পলিব্যাগের কি বিশাল পরিমাণের চাহিদা রয়েছে। আসুন একসাথে আমরা ডঃ মুবারক খানের আবিষ্কারের গুরুত্বকে সরকারের উঁচু পর্যায়ে জানানোর ব্যবস্থা করি যাতে করে লোকালি বেবং গ্লোবালি সকল ধরণের জুট প্রোডাক্টসের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।

2018-06-06T22:37:04+06:00